ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার এ সংবাদ দিয়েছে।
এর আগে ভারতের সিনেমা হলগুলোতে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো ছিল বাধ্যতামূলক।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেশ করা সুপারিশে সরকার বলে, জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর বিষয়টি আর বাধ্যতামূলক রাখা উচিত হবে না। সুপ্রিম কোর্ট সরকারের সুপারিশ গ্রহণ করে এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিয়ে রায় ঘোষণা করে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলালয় এই মর্মে সোমবার সরকারের পক্ষে এফিডেভিট পেশ করে।
এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত প্রাথমিক এক আদেশে বলেছিল, সিনেমা হলে যতক্ষণ জাতীয় সঙ্গীত বাজানো চলবে ততক্ষণ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাড়া সব দর্শককে অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। এতে করে ব্যক্তির মনে ‘দেশপ্রেমের এবং জাতীয়তাবোধের অনুভূতি’ জাগ্রত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চ নভেম্বরের সেই রায়টি ঘোষণা করেছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি দীপক মিশ্র। পরে তিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেন।
এর পরপরই সরকার অভিমত প্রকাশ করে বলে, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের একটি প্যানেল এ বিষয়ে সুপারিশ পেশ করার পরই কেবল এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সমীচীন হবে। সরকারের এ মনোভাব প্রকাশের একদিন পরই স্রপ্রিম কোর্ট তার রায় সংশোধন করে। সংশোধিত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, সিনেমা হল যদি জাতীয় সঙ্গীত বাজায় তাহলে শারীরিকভাবে অক্ষমরা ছাড়া সবাইকে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখাতে হবে।
এ বিষয়ে একটি আপিল আবেদন পেশ করা হলে অপর একটি বেঞ্চ (তাতে বিচারপতি মিশ্রও ছিলেন) অভিমত দেয়, দেশপ্রেম প্রমাণের জন্য সিনেমা হলে লোকজনের উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই।
চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর মঙ্গলবার আপিলকারীর পক্ষের আইনজীবী অভিনব শ্রীবাস্তব এ ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, রায়ে আমরা খুশি। আমাদের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
জেএম