বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) গাজা উপত্যকার বুরিজ শরণার্থী শিবিরের পূর্বে একটি এলাকায় এবং পশ্চিম তীরের ইরাক বুরিন গ্রামে পৃথক এ দু’টি হত্যাকাণ্ড ঘটে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
গাজায় কিশোরের হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, বরিজ শিবিরের অদূরে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালালে ওই কিশোরের বুকে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় তার। গুলিবিদ্ধ হয় আরও তিনজন। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আর পশ্চিম তীরে কিশোরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ইরাক বুরিন গ্রামে বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনারা বাধা দিলে তাদের ওপর পাথর ছোড়ে ফিলিস্তিনিরা। এসময় গুলি ছুড়তে থাকে দখলদার সেনারা। এতে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোর গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ফিলিস্তিনিরা সৈন্যদের জন্য ‘হুমকি’ হয়ে উঠছিলো বিধায় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়ার প্রশ্নে দশকের পর দশক ধরে অনুসৃত নীতি ভেঙে গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প আকস্মিকভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ওই অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা দেখা যায়। ‘নবজাগরণের’ ডাক দিয়ে বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের নিন্দার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্ব পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তেলআবিব ও ওয়াশিংটনবিরোধী এই নতুন আন্দোলনে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে বা হামলায় দু’ডজনেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এইচএ/