খবরটা শোনার পরও?
হ্যাঁ, খবরটা শোনার পরও গলফ খেলায় ক্ষান্ত দেননি ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে এই খবর।
ট্রাম্প দেশের প্রেসিডেন্ট অথচ এমন ভয়ানক বার্তা শোনার পরও বিস্ময়করভাবে তার কাছে গলফ খেলাটাই বড় হয়ে উঠল। এ খবরে সবাই রীতিমতো হতবাক।
পরে অবশ্য বার্তাটি ভুয়া প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পকে যখন ব্রিফ করা হয়, তখনো জানা যায়নি যে, বার্তাটি ভুয়া। তাই সবার একটাই প্রশ্ন, এমন পিলে চমকানো খবর শোনার পরও ট্রাম্প কী করে এমন নির্বিকার থাকলেন!
এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে শুরু হয়ে গেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে টুইট বার্তা দেওয়া।
এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে কড়া টুইট বার্তাটি দিয়েছেন বারাক হোসেন ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাজ করেছেন এমন এক কর্মকর্তা প্যাট্রিক গ্য্যানফিল্ড।
ব্যঙ্গমিশ্রিত স্রেফ ছোট্ট একটি বাক্যে টুইটে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন: “ঈশ্বরের কাছে শুকরিয়া, প্রেসিডেন্ট তখন গলফ খেলছিলেন!’’
গ্র্যানফিল্ড ওবামার সময় পেন্টাগনের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ছিলেন। এখন জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান।
একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, হাওয়াইতে ইমার্জেন্সি মিসাইল অ্যালার্ট জারি করার পরও ট্রাম্প ছিলেন ফ্লোরিডায় নিজের নামে করা ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ কোর্সে। তিনি গলফ কোর্স ছেড়ে মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এর ৩০ মিনিট পর।
গুয়ান্তানামো বে কারাগারের সাবেক মিলিটারি কমিশনার কর্নেল মরিস ডেভিডও ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করে অনুরূপ এক টুইট বার্তা দেন।
তাতে তিনি বলেন,‘‘এক নাগাড়ে ৩৮টা মিনিট হাওয়াইয়ের মার্কিন নাগরিকরা ব্যালেস্টিক মিসাইলের শিকার হওয়ার প্রহর গুনছিলেন...আর অ্যাটদ্যরেইটঅবরিয়েলডোনাল্ডট্রাম্প (@realDonaldTrump) এক বছরের মধ্যে জনগণের করের টাকায় ফ্লোরিডায় তার ১২০তম অবকাশকালীন গলফ খেলা খেলেই যাচ্ছিলেন। ’’
এ দুজন ছাড়া আরো অনেকে ট্রাম্পের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাঁপিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু যাকে নিয়ে এতো কথা, এতো বিতর্ক সেই সদা বিতর্কপ্রিয়, সদা নেতিবাচক-খবরের-জন্ম-দিয়ে-চলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু অবকাশযাপন-বিলাসে ছেদ টানেননি; মার-এ-লাগোর প্রমোদকেন্দ্র থেকে ছুটি সংক্ষিপ্ত করে রওয়ানা হননি রাজধানী ওয়াশিংটনের পথে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
জেএম