নাসার হাবল ও স্পিটজার টেলিস্কোপের সাহায্যে পাওয়া সবচে দূরবর্তী আদিম এই ছায়াপথটির ছবি ‘গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং’ নামে একটি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। এ প্রযুক্তির সাহায্যে ছায়াপথের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের বিচ্ছুরিত আলোকে প্রসারিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইন্সটিটিউটের গবেষক ব্রেট স্যামন জানান, গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং প্রযুক্তির সাহায্যে পাওয়া ছবিটি বিশ্লেষণ করে ছায়াপথটির যথার্থ আকৃতি ও গঠন জানা সম্ভব হয়। এত বেশি দূরত্বে আর কোনো ছায়াপথের সন্ধান এর আগে মানুষ কখনো পায়নি।
গত কয়েক বছরে বেশ কিছু নতুন ছায়াপথ আবিষ্কারের তথ্য জানায় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলো। জানা যায়, দূরবর্তী ছায়াপথ খোঁজার জন্য জ্যোতির্বিদরা ‘জুম লেন্স ইফেক্ট’ ব্যবহার করেন। এ পদ্ধতি ছাড়া সর্বাধুনিক এবং সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যেও অসীম দূরবর্তী এসব ছায়াপথের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হতো না।
হাবল ও স্পিটজার টেলিস্কোপের সাহায্যে পাওয়া ছবির তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানাচ্ছেন, ছায়াপথটি সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ১৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বছর আগে। এর ভর প্রায় ৩০০ কোটি সূর্যের সমান। আর এ ছায়াপথের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ২৫০০ আলোকবর্ষ দূরে।
বাংলাদেশ সময়:১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এনএইচটি/জেএম