সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতের সেনাপ্রধান এই হুঁশিয়ারি বার্তা দেন। তবে ‘অন্য ব্যবস্থা’ কী হবে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেননি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনগোষ্ঠীর দেশের সেনাপ্রধান।
বিষয়টি সম্পর্কে তিনি ব্যাখ্যা না দিলেও ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, সেনাপ্রধানের বার্তা— পাকিস্তান যদি অনুপ্রবেশে মদদ দেওয়া বন্ধ না করে, সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঘটনাচক্রে সোমবারই ভারতীয় সেনাদের পাল্টা হামলায় নিহত হয় সাত পাকিস্তানি সেনা। খতম হয় জইশ-ই-মোহাম্মদের পাঁচ জঙ্গিও। অভিযানের সাফল্যের জন্য সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, দু’পক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তি বলতে অবশিষ্ট কিছু নেই। সীমান্তের প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই গুলিবিনিময় চলছে থেমে থেমে। যেভাবে যুদ্ধবরিতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি সেনারা হামলা চালাচ্ছে, তাতে ক্ষুব্ধ ভারতীয় সেনাবাহিনীর র্শীষ নেতৃত্ব। কেবল তাই নয়, যেভাবে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মদদ দিয়ে চলেছে, তাতে ফের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ (নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে কৌশলগত হামলা) পক্ষে আলোচনা তুলছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি অংশ।
এই পরিস্থিতিতে জেনারেল বিপিন রাওয়াতের ওই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। যেভাবে সেনাবাহিনীকে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া আছে, তাতে পাকিস্তানের ওপর হামলার তীব্রতা আগামী দিনে বাড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসকে/এইচএ/
** ভারতীয় সেনাদের প্রতিশোধ, ৭ পাকসেনা নিহত