নির্গত তেল এরই মধ্যে উপকূলের ১২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় ২ বাংলাদেশিসহ নিখোঁজ ৩২ জনের কেউ আর বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা ।
ডুবে যাওয়া ট্যাংকারটি ১ লাখ ৩৬ হাজার টন অশোধিত তেল বহন করছিল। হালকা ওজনের এ তেল সাগরতলে পিচ্ছিল ও বর্ণহীন এক আবরণ সৃষ্টি করে যা খুবই বিষাক্ত। অশোধিত এই বিষাক্ত পোড়া তেল সামুদ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করতে পারে।
আট দিন ধরে জ্বলতে থাকা ইরানি ট্যাংকার সানচি রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিস্ফোরিত হয়ে এর ভেতরের পোড়া তেলসহ ডুবে যায়।
উল্লেখ্য, ট্যাংকারে থাকা ৩০ জন ইরানি এবং দুইজন বাংলাদেশি এ ঘটনার পর নিখোঁজ হন। পরে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ দুই ইরানির লাশ পাওয়া যায়।
সোমবার চীনা গণমাধ্যম জানায়, ট্যাংকারের উপরিতলের আগুন নেভানোর পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। এরপর পানি থেকে তেল ও জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে দু’টি জাহাজ থেকে তেল নিষ্ক্রিয়কারী রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা সামুদ্রিক পরিবেশ নিয়ে। কারণ, ট্যাংকার থেকে নির্গত ‘কনডেনসেট’ নামের জ্বালানি অনেকটাই বর্ণহীন। পানিতে ছড়িয়ে পড়লে তা অপসারণ করা প্রায় অসম্ভব।
ইরান থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে যাওয়ার পথে পূর্ব চীন সাগরে সাংহাই উপকূল থেকে ২৬৯ কিমি দূরে হংকংয়ের একটি পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ট্যাংকার সানচিতে আগুন ধরে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এনএইচটি/জেএম