ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রলালয়ের এ সংক্রান্ত এক টুইট বার্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে পূর্বাঞ্চলীয় ওড়িশ্যা রাজ্যের আবদুল কালাম দ্বীপের অদূরে ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা চালানো হয়।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এর মধ্য দিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা-সক্ষমতা এক লাফে অনেক দূর এগিয়ে গেল।
নয়াদিল্লিভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল অজয় শুক্লার মতে, এশিয়ায় ভারতের প্রধানতম সামরিক প্রতিপক্ষ চীনের বিশাল ভূখণ্ডের প্রতি ইঞ্চি এলাকা এখন এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে এলো। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জটিল প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ ভারত যেভাবে একে একে সফলতার সঙ্গে পেরিয়ে যাচ্ছে তা বেশ চোখে পড়ার মতো।
তবে এই দাবির সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত করলেন এমআইটি-র গবেষক বিপিন নারাং। সিএনএনকে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নতুন কোনো সক্ষমতা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বহরে সংযোজনের আগে ক্ষেপণাস্ত্রটির আগের অবস্থার উন্নয়ন মাত্র। পরীক্ষা-নিরীক্ষার একাধিক ধাপের মধ্যে একটি ধাপের অগ্রগতি বলা যায় একে।
ফেডারেশন অব অ্যামেরিকান সায়েন্টিস্ট-এর মতে, ‘‘ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে ১২০ থেকে ১৩০ টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। "
উল্লেখ্য, ভারত ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত পরমাণু ওয়ারহেডবাহী এই আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির ৫টি পরীক্ষা চালিয়েছে। এর আগের সর্বশেষ পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে।
ভারতের সব মারণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের মূল নিশানা বৈরী দেশ চীন ও পাকিস্তান। প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সব সময়ই টানাপোড়েন ও উত্তেজনার। এর আগে দুদেশ যুদ্ধেও জড়িয়েছে। সাম্প্রতিককালেও দোকলাম নিয়ে দুদেশের বাহিনী টানা ৭০ দিন পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
অগ্নি-ভি’র কালকের সফলতা সেদিক থেকে চীনের জন্য ভারতের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরই জোরালো বার্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
জেএম