এই ভিসা চালু হলে যে কোনো দেশের নাগরিকই সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারবেন। আগে এর অনুমতি ছিল না।
‘শুধু তেল রপ্তানিকারক’ দেশের তকমার বাইরে বের হয়ে সৌদি শাসকগোষ্ঠী তাদের দেশকে এখন সাজাচ্ছেন চমকপ্রদভাবে। গড়ে উঠছে বিলাসবহুল রিসোর্ট, পাশ্চাত্য ঢঙের সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন প্রমোদকেন্দ্রসহ পর্যটকবান্ধব নানান অবকাঠামো।
পর্যটকদের জন্য আরেকটি আকর্ষণ হতে চলেছে 'আল ওয়াহবাহ’ জ্বালামুখ। এ জ্বালামুখ অচিরেই হতে যাচ্ছে সৌদি আরব ভ্রমণকারীদের প্রিয় হাইকিং স্পট। সম্প্রতি পর্যটন-ব্যবসায়ী আমর খলিফা একটি ছোট দল নিয়ে প্রথমবারের মতো এই আগ্নেয়গিরির পাদদেশে ক্যাম্পিং করেন।
পর্যটক আকর্ষণের জন্য আল ওয়াহবাহর নাম বিশেষভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। কারণ, এখনো সৌদি নাগরিকদের কাছেও অঞ্চলটি অনেকটাই অপরিচিতই রয়ে গেছে। ফলে শুধু বিদেশি নয়, দেশি পর্যটকদেরও আকর্ষণ করবে এই পর্যটনকেন্দ্র, এমনটিই আশা করছেন ব্যবসায়ী ও সৌদি আরবের সংস্কারপন্থি নতুন শাসকগোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে দীর্ঘদিন ধরে তেলের ব্যাপক ও অব্যাহত দরপতনের কারণে তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব ব্যাপক মন্দায় পড়ে যায়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যাপক ব্যয়সংকোচন থেকে শুরু করে রাজপরিবারের সদস্যদের ভর্তুকি সুবিধা ছেঁটে ফেলা হয়। নেওয়া হয় ব্যাপক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে পর্যটনকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে চিহ্নিত করে এগোচ্ছে নতুন সরকার। মেয়েদের নতুন নতুন অধিকার দেবার পাশাপাশি নানা দিকে চলছে সংস্কার ও ‘খোলা দুয়ার নীতি’র বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এনএইচটি / জেএম