অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন সার্ভিসের বরাত দিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে এখবর।
তাদের দেয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালের শরতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ক্লাশে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১০৭২ জন মেয়ে শিক্ষার্থী।
অনেকেই ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের সমান তালে পাল্লা দেওয়ার এই বিষয়টাকে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
অথচ বিশ শতকেও অবস্থাটা ছিল মেয়েদের জন্য একেবারেই নেতিবাচক। তখন ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছেলে শিক্ষার্থীর তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল অনেক কম। তবে গত শতকের ৯০-এর দশকে এসে এই নেতিবাচক চিত্র আমূল বদলে যেতে থাকে। ওই দশকে ব্রিটেনে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি’ (ব্যাচলের ডিগ্রির সমমানের ডিগ্রি) অর্জন করে ১ লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি মেয়ে শিক্ষার্থী।
এরপর ২০০০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি সংখ্যক মেয়ে শিক্ষার্থী এই ডিগ্রি অর্জন করে। তখনই দেখা যায়, ছেলেরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। ওই দশ বছরে ফার্স্ট ডিগ্রি অর্জন করে মাত্র ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৩৫ জন ছেলে শিক্ষার্থী।
এবার অক্সফোর্ডেও সেই যোগ্যতার প্রমাণ তুলে ধরলো মেয়েরা -----হাজার বছরের পুরুষ-শ্রেষ্ঠত্বের আসন প্রথমবারের মতো টলিয়ে দিয়ে।
প্রসঙ্গত, উন্নত বিশ্ব হওয়া সত্ত্বেও ইউরোপ ও আমেরিকাতে নারীরা এখনো সবক্ষেত্রেই পুরুষের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। তবে একটু একটু করে নানা সূচকে মেয়েরা এখন পুরুষদের সঙ্গে (সমান তালে না হলেও) বেশ ভালোই পাল্লা দিচ্ছে। শিক্ষার ক্ষেত্রটিতে মেয়েদের অর্জনও বেশ আশানুরূপ। এই একটা ক্ষেত্রেই মেয়েদের অর্জন রীতিমতো ঈর্ষা করার মতো।
বাংলাদেশ সময়:১৪৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
জেএম