কোথাও কোথাও নদীপাড় ভেঙে বন্যার পানি শহরে প্রবেশ করেছে। এতে গোটা প্যারিসের অংশবিশেষ তলিয়ে গেছে।
সংবাদ সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, শহরের বহু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বন্যার পানির নিচে চলে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম বিপর্যস্ত। ট্রেন-বাস চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক বেসমেন্ট ও নিচু এলাকা ডুবে যাওয়ায় লোকজন ক্ষতি ও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। অনেক স্থানে পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। স্যুয়ারেজে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুঁতিগন্ধময় পরিবেশ বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের নৌবিহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই বাইরে সব ধরনের বোট সার্ভিস বা নৌচলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক স্থানে রাস্তার পাশের অনেক বিখ্যাত স্ট্যাচু ও ভাস্কর্যের পুরোটা বা অংশবিশেষ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। অনেক ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা বন্যাকবলিত। বিশ্বখ্যাতি লুভ জাদুঘরের একাংশ গত চারদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। বহু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত।
বন্যার কারণে প্যারিসজুড়ে সব কিছুতে চলছে চরম বিশৃঙ্খলা ও দুর্ভোগ। সিনের পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে বিধায় অবস্থা আরো খারাপের দিকে মোড় নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যাকবলিত অনেক নিচু এলাকা থেকে এরই মধ্যে কয়েকশ বা কয়েক হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মাটির নিচে ইঁদুরের গর্তে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষের বাসাবাড়ি, অফিস, দোকানপাট সবখানে ইঁদুরের উপদ্রব চরম সীমায় পৌঁছেছে।
যেসব রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে এখন লোকজন ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় চলাচল করছে। নিমজ্জিত অনেক রাস্তায় হাঁসেরা দল বেঁধে সাঁতার কাটছে।
এমন দুরবস্থার মধ্যঁও প্যারিসীয়দের রসিকতায় ভাটা পড়েনি। রাস্তায় রাখা গাড়ির টায়ার-ডোবানো পানি আর সে পানিতে হাঁসেদের সাঁতার কাটতে দেখে প্যারিসীয় এক রসিকচিত্ত ললনার উক্তি: ‘‘আহা কী চমৎকার! রাস্তায় এখন গাড়ির বদলে চলেছে হাঁস। ’’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
জেএম