মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশগুলোর নাম উল্লেখ না করেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নাম ঘোষণা না করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো এবং শত্রুরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী কার্স্টেন নিয়েলসেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, " কারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, সেটা ভালোভাবে জানাটা আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বাড়তি এসব নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেয়ায় আমাদের শরণার্থী কার্যক্রমের ফাঁক গলে বদ লোকদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়াটা আগের চেয়ে অনেক কঠিন হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের স্বদেশের নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে।
কট্টর মুসলিমবিরোধী বলে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে উত্তর কোরিয়াসহ মোট ৮টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশগুলো হলো ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, শাদ, সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও উত্তর কোরিয়া।
এবার যে ১১টি দেশকে ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশ বলা হচ্ছে, সেগুলোর নাম উল্লেখ না করা হলেও শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বিভিন্ন গ্রুপ বলছে, এসব দেশের তালিকায় থাকবে মূলত, মিশর, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন।
মার্কিন প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, প্রশাসন মুসলমানদের ওপর বিরূপ হয়ে কিছু করছে না বা মুসলমানদের বৈষম্যের লক্ষ্যবস্তুও করা হচ্ছে না।
তার ভাষায়, ''মুসলমানদের টার্গেট করার জন্য এই বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাটি নেয়া হয়নি। ধর্ম নিয়ে বা কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় নিয়ে অামাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ’’
বাংলাদেশ সময়:১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
জেএম