সোমবার রাতে মার্কিন কালো তালিকা প্রকাশের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা কি হবে---এই মর্মে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্রাসেলসে ইইউর একজন মুখপাত্র এমন জবাব দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন ট্রেজারি দপ্তরের প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে আমরা অবহিত আছি।
রাশিয়া এই তালিকাকে নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ বলে গণ্য করলেও মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর বলছে এই তালিকা নিষেধাজ্ঞার অংশ নয়। তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হবে না।
মার্কিন ও পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো এই তালিকাকে ‘পুতিন-তালিকা’, এবং ‘ক্রেমলিন তালিকা’ নামেও অভিহিত করছে।
সোমবার মার্কিন ট্রেজারি দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তালিকায় খোদ রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভও রয়েছেন।
এই তালিকা প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তালিকায় যাদের নাম আছে শুধু তাদেরকেই নয়, বরং গোটা রাশিয়ার জনগণকেই কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই অবন্ধুসুলভ হীন মনোভাব দু’দেশের সম্পর্ককে জটিল থেকে আরো জটিল করে তুলবে। তবে আমরা চাই না পরিস্থিতির অবনতি হোক। প্রতিশোধ না নিয়ে আমরা বরং নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকবো এবং নিজেদের অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করবো।
তালিকায় নিষিদ্ধ ২১০ জনের মধ্যে ১১৪ জন বর্ষীয়ান রুশ রাজনীতিক এবং ৯৬ জন অভিজাত ধনকুবের। বিশ্বের সেরা ধনকুবেরদের অন্যতম ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচের নামও রয়েছে এই কালো তালিকায়।
বাংলাদেশ সময়:২১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
জেএম