আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) তিনি ঢাকা এসে পৌঁছাবেন। এর আগে গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসেন রায়ে।
তার সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চাপ সৃষ্টি করতেই বব রায়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। সফরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করবেন তিনি।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে এদেশে এখন আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।
এই সংকট সৃষ্টি হলে বিষয়টি দেখাশোনার জন্য ২৩ অক্টোবর বব রায়েকে বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে রাখাইন অঞ্চলে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রায়ের ওপর বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পর রায়ে ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসেন। সেসময় তিনি কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ থেকে ফিরে গিয়ে বব রায়ে সেসময় বলেন, ‘রাখাইনে নির্যাতন চলেছে। অনেক মানুষ মারা গেছে। এই বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সবার কথা বলা প্রয়োজন। আরও অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার বিষয়ও রয়েছে। ’
তিনি তার নতুন সফরে আরও তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
কেজেড/এইচএ/