নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য গ্রাম উন্নয়ন ও কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৪ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার রাজনৈতিক বাজেট ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যাতে গুরুত্ব পেয়েছে ১৩২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি।
ভারতবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বৃহৎ প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে এমনটা জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
তিনি বলেন, জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা নামে একটি প্রকল্প চালু করা হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবার পিছু প্রয়োজনে বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ বহন করবে সরকার।
এর আওতায় ১০ কোটি পরিবারের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ আসবে। জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই এতে উপকৃত হবে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জনদরদি যোজনা চালু করা ছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমেও গ্রামীণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে চাইছে সরকার।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার সুবিধায় দেড় লাখ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরিত করা হবে।
পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে কমপক্ষে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গডদে তোলা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, মৌলিক স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
** লোকসভা ভোটের আগে গ্রামমুখী বাজেট মোদি সরকারের
** বাজেটের ফলে ভারতে যেসবের দাম বাড়বে-কমবে
তিনি বলেন, কৃষি ঋণ ১১ লাখ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। গ্রামীণ এলাকায় এক কোটি নতুন বাড়ি বানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনা খাতে ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে সরকার।
‘দেশের সব ঘরে বিদ্যুত্ পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনা শুরু হয়েছে। আর উজ্জ্বল যোজনার আওতায় ৮ কোটি এলপিজি সংযোগ দেবে সরকার। ’
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকদের ৮৬ শতাংশ হলেন ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক। তাদের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাদের আয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
‘আগামী অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি। ৮ শতাংশ হারে আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগোবে সরকার,’ বলেন জেটলি।
ভারত শিগগির পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হবে উল্লেখ করে অরুণ জেটলি বলেন, আমাদের সরকার সফলভাবে মৌলিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কার করেছে। ভারত এখন ২.৫ ট্রিলিয়ন (২ লাখ ৫০ হাজার কোটি) ডলারের অর্থনীতি। এটা পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি, তবে অচিরেই পঞ্চম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএ/