জোহানেসবার্গ থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের বিট্রিক্স সোনার খনি থেকে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই ৯৫৫ জনকেই নিরাপদে বের করে আনা হয়। তারা গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত থেকে সেখানে আটকে ছিলেন।
সোনার খনিটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান সিবানি-স্টিলওয়াটারের মুখপাত্র জেমস ওয়েলস্টেড সংবাদমাধ্যমকে জানান, সবাইকেই বের করে আনা হয়েছে।
২৩ স্তর বিশিষ্ট ৩ হাজার ২৮০ ফুট গভীরের ওই খনির বিভিন্ন স্তরে আটকে শ্রমিকরা পানিশূন্যতা এবং উচ্চরক্তচাপে ভুগছিলেন জানিয়ে ওয়েলস্টেড বলেন, অনেকে অসুস্থতায় ভুগলেও কারও অবস্থা বেশি গুরুতর নয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সোনার খনিটির সঙ্গে সংযুক্ত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝড়ের কবলে ভেঙে পড়লে ওই খনি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক অন্যান্য কার্যক্রমও। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় শুক্রবার ভোরে ওই খনিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনর্স্থাপিত হলে শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের শীর্ষ সোনা উৎপাদক হলেও দেশটিতে এই শিল্পের নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৭ সালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন খনিতে ৮০ জনের প্রাণহানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এইচএ/