পত্রপত্রিকাগুলো তার মামলার পটভূমি তুলে ধরার পাশাপাশি মামলার রাজনৈতিক তাৎপর্য, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই রায়-পরবর্তী প্রভাব, সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা প্রকাশসহ নানা মন্তব্যও জুড়ে দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার সাজাপ্রাপ্তির এই খবরটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দুসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাগুলিতে স্থান পেয়েছে।
উপমহাদেশের বাইরের সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের পত্রপত্রিকায় খবরটি স্থান পেয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা দুনিয়ার মিডিয়াজুড়েই স্থান পায় খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডিত হওয়ার সংবাদটি।
যেসব সংবাদমাধ্যম খালেদার সাজাপ্রাপ্তির এই খবরটি দিয়েছে তাদের মধ্যে আছে বিবিসি, আল জাজিরা, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি, এপি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, এনডিটিভি, ডনসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যম।
খালেদার আদালতে যাওয়ার পথে রাস্তা রাস্তায় খালেদাভক্তদের ভিড়, বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কথাও উঠে আসে এসব খবরে-প্রতিবেদনে। তাছাড়া এ নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ,পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ছোড়া, কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আহত হওয়া এবং বেশকিছু যানবাহন ধ্বংসের কথাও বলা হয়েছে।
খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রতিবেদনে। বয়স এবং সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে খালেদাকে যে প্রাপ্যের চেয়ে কম সাজা দেয়া হয়েছে সেকথাও উঠে আসে এসব সংবাদ-প্রতিবেদনে।
সাজাপ্রাপ্তির কারণে খালেদা জিয়া যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না সেকথাও উল্লেখ করা হয় কিছু কিছু প্রতিবেদনে। তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে খালেদাপুত্র তারেকসহ অন্যদের ১০ বছর করে সাজাপ্রাপ্তির বিষয়টি স্থান পায়নি। সব মিডিয়ার প্রাথমিক খবরের মূল ফোকাস ছিলেন বিএনপিনেত্রী খালেদা।
এএফপির মতো কোনো কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে '‘এটা যতোটা না ফৌজদারি, তারও চেয়ে বেশি রাজনৈতিক মামলা ’’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
জেএম