পতঞ্জলির প্রধান নির্বাহী আচার্য বালকৃষ্ণ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অতি প্রাচীনকাল থেকে উপমহাদেশের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এ উদ্ভিদটি (গাঁজা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আমাদের এর উপকারী দিকগুলো বিবেচনা করা উচিত।
ভেষজ ওষুধ ও প্রসাধনীতে ভারতের শীর্ষে অবস্থান করছে বাবা রামদেবের প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলি। অনেক দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলে দিয়েছে যোগগুরুর এ প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের পণ্য তালিকায় গাঁজা সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে বলেই এ বস্তুর বৈধতার দাবি জানানো হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রাচীন আমল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে গাঁজার নানাবিধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ অঞ্চলের প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যাথানাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো গাঁজা। ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশে গাঁজা উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করার প্রচেষ্টা শুরু হয়।
এ যুগের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ উদ্ভিদ থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যাথানাশক ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব। মৃগীরোগ, আলজেইমার, পার্কিনসন ইত্যাদি রোগের ওষুধ হিসেবেও বিশ্বের অনেক দেশে এ উদ্ভিদটি ব্যবহৃত হয়।
তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু রাজ্যে গাঁজা বৈধ করার পর এ খাত থেকে ওই দেশের অর্থনীতিতে ৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা) যুক্ত হয়েছে। কানাডায় শুধু চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গাঁজা বেচা-কেনা বৈধ এবং ওই দেশের জিডিপির দশমিক ২ শতাংশ যুক্ত করে এ উদ্ভিদটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এনএইচটি/এএ