ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আস্ত ট্রেন যায় এক স্কুলছাত্রীকে আনতে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
আস্ত ট্রেন যায় এক স্কুলছাত্রীকে আনতে! এই বরফঢাকা রেলপথ দিয়েই ১ ঘণ্টা দূরের স্টেশনে যেতে হয় ট্রেনকে একা স্কুলছাত্রীকে আনতে। ছবি-সংগৃহীত

আর কোনো যাত্রী নেই। বরফঢাকা প্রত্যন্ত স্টেশনে যাত্রী মাত্র একজন। একা এক স্কুলছাত্রী সে। তবু নিজের চলার রুটের বাইরে একঘণ্টা দূরের স্টেশনে প্রতিদিন ট্রেনটি ছুটে যায় স্কুলছাত্রীটিকে আনতে।  

হ্যাঁ, এমনটাই ঘটছে প্রতিদিন রাশিয়ার সর্ব উত্তর-পশ্চিমের চির তুষারে ঢাকা মুরমানস্ক অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম-এলাকায়। সেখানকার মুরমানস্ক টু সেইন্ট পিতাসবুর্গ রুটে (২১ নম্বর ট্রেন রুট) চলাচলকারী একটি ট্রেন ওই স্কুলছাত্রীকে আনতে যায়।

এজন্য ট্রেনটিকে জেলেনোবরস্কি নামের একটি স্টেশনে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। ছাত্রীটি তার স্কুল ছুটির পর সেই স্টেশনে ট্রেনের আশায় পথ চেয়ে থাকে।

স্থানীয় রেল কোম্পানির একজন মুখপাত্র একটি রুশ বার্তাসংস্থাকে বলেন, "কান্দালাকশা জেলা কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ২১ নম্বর রুটে পোইয়াকোন্দা স্টেশন থেকে অন্য একটি রুটে ১ ঘণ্টা দূরের একটি স্টেশনে গিয়ে স্টপেজ দিতে অনুরোধ জানায়। আমরা তাদের সে অনুরোধে সাড়া দিয়েছি। ’’ 

পোইয়াকোন্দা গ্রামে বাসিন্দা মাত্র ৫০ জন। আর সেখানে স্কুলছাত্রী মাত্র ১জন। কিন্তু লেখাপড়ার জন্য তাকে ট্রেনে চেপে যেতে হয় ১ ঘণ্টা দূরের জেলেনোবরস্কি গ্রামের স্টেশনে।

যাবার সময় একটি কমিউটার ট্রেনে যেতে পারলেও স্কুল ছুটির পর কোনো ট্রেন থাকে না। পরবর্তী ট্রেনটার সময় আবার রাত ৮টায়।

তাছাড়া ওর জন্য বাস পাঠানোরও কোনো ব্যবস্থা নেই। কারণ ওর বাড়ি পর্যন্ত কোনো বাস-রাস্তাও নেই। ওর বাড়ি থেকে হাইওয়ে পর্যন্ত ৮/১০ কিলোমিটার এলাকাও আবার  ঘন জঙ্গলাকীর্ণ।

তাই ওর স্কুলে যাওয়া আসা নিশ্চিত করার জন্যই জেলা প্রশাসন আর রেল কর্তৃপক্ষ মিলে এই সুন্দর মানবিক ফয়সালাটি বের করেছে। মেয়েটির নাম জানায়নি রুশ বার্তা সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।