ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মনোহর মোদী তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের এ পর্যায়ে শনিবার ফিলিস্তিনে এক অতি সংক্ষিপ্ত সফরকালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, এটা কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই নয়, বরং ফিলিস্তিনে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বরণ করে নিয়ে ‘আমাদের মহান অতিথি’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতাকে ফিলিস্তিন খুবই মূল্য দেয়।
ফিলিস্তিনে সংক্ষিপ্ত সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জর্দানের রাজধানী আম্মানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার কথা। জর্দান থেকে তিনি যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ও ওমানে।
আগের দিন শুক্রবারই তিনি আম্মান পৌঁছান এবং বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। জর্দান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে তিনি দেশটির উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে ওমানে গিয়ে বৈঠক করবেন ওমানি সুলতানের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওমানে এটাই হবে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম সফর।
উল্লেখ্য, জর্দানে শুক্রবার রাত কাটিয়ে শনিবার হেলিকপ্টারে চড়ে ফিলিস্তিনে পা রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৫ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বিমানে ইসরায়েলে গিয়ে সড়কপথে ফিলিস্তিনের রামাল্লায় ফিরেছিলেন। রামাল্লায় তিনি রাত্রিবাসও করেন।
শনিবার ফিলিস্তিন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী রামাল্লায় ভারতের অর্থায়নে একটি সুপার স্পেশিয়ালিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে ঘোষণা করেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, " প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফলের মূল ফোকাসই হচ্ছে ফিলিস্তিনে সেইসব সেবা ও অবকাঠামো গড়ে তোলা যেগুলো ফিলিস্তিনের মানুষ পায় না। ’’
এর আগে মোদী গত বছরের জুলাইতে ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন ফিলিস্তিন সফরে যাননি।
প্রসঙ্গত, ভারতই হচ্ছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সবার আগে স্বীকৃতিদানকারী একমাত্র অ-আরব রাষ্ট্র। স্বীকৃতিদানের পাশাপাশি ভারত ফিলিস্তিনের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
জেএম