যে কোনো বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে নিমেষে ১০০ ভাগ নির্ভুলতায় ধ্বংস করে দিতে পারে এই সিস্টেম। যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক স্টিলথ বিমানও এর চোখ ফাঁকি দিতে অক্ষম।
চীন,ভারত, ইরান, তুরস্ক, ইরাক, সুদান, মিশর, কাতারসহ বহু দেশ এটি সংগ্রহের জন্য চুক্তি করেছে। সৌদি আরবসহ আরো অনেক দেশও এটি কেনার জন্য মরিয়া। কিন্তু রাশিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র চায় না কোনো দেশ এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের অধিকারী হোক। এটির বিক্রি ঠেকাতে মার্কিন প্রশাসন তাই উঠেপড়ে লেগেছে। ন্যাটোর সদস্য তুরস্ককে অনেক নিষেধ করেও ফল হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এহেন নেতিবাচক অবস্থানের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলেছে রাশিয়া। রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজের আকাশকে নিরাপদ রাখার জন্য যদি এটি কিনতে চায়, সেক্ষেত্রে তা বিক্রি করতে রাশিয়ার কোনো আপত্তি নেই।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্রনির্মাতা প্রতিষ্ঠান রসোতেক কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী সের্গেই চেমেজভ বলেছেন একথা।
শনিবার ছাপা হওয়া সাক্ষাৎকারে চেমেজভ আরো বলেন,‘‘ এস-৪০০ কোনো আক্রমণাত্মক অস্ত্র নয়, বরং এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র। আমেরিকা চাইলে আমরা এটি তাদের কাছেও বিক্রি করতে প্রস্তুত। তাই এই অস্ত্রটি নিয়ে এতো হৈ চৈ বা জলঘোলা করার মতো কোনো যৌক্তিকতা কৌশলগত দিক থেকে একেবারেই নেই। ’’
তুরস্ক ন্যাটো জোটের দেশ। আর ন্যাটো রাশিয়াবিরোধী একটি সামরিক জোট। তাহলে তুরস্কের মতো দেশের কাছে এটি বিক্রি করলে রাশিয়ার নিজের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে কিনা—এমন প্রশ্ন করা হয় চেমেজভকে।
জবাবে চেমেজভ বলেন, একটি ন্যাটোভুক্ত দেশের কাছে এস-৪০০ বিক্রি করা সত্ত্বেও রাশিয়ার নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে না। কারণ রাশিয়া কখনো নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো আপোস করে না।
চেমেজভ বলেন. ‘‘উল্টোটাই বরং সত্য। যদি কোনো দেশ তার আকাশসীমা রক্ষায় সক্ষম হয় তাহলে সেদেশ অনেক বেশি নিশ্চিন্ত ও নির্ভার থাকে। এমন দেশকে হামলা করার আগে যে কোনো আগ্রাসনকারী ভেবে চিন্তেই করবে। ’’
বিশ্বজুড়ে এই সিস্টেমটির চাহিদা এখন তুঙ্গে বলে উল্লেখ করেন চেমেজভ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাধা ও হুমকি অগ্রাহ্য করে তুরস্ক ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এই এস-৪০০ সিস্টেম ক্রয়ের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে। তুরস্ক এর প্রথম চালানটি পাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
জেএম