সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের একদিন পর বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী দেউবা এই ঘোষণা দিলেন।
নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর পর দুটি প্রভাবশালী কমিউনিস্ট দল নিয়ে গঠিত একটি জোট ক্ষমতা গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পদত্যাগের ঘোষণা দানকালে প্রধানমন্ত্রী দেউবা বলেন, ‘‘সব পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি সফলভাবে সম্পাদন করেছি। এবার আমার যাওয়ার পালা। ’’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী দেউবার ৮মাস দায়িত্বপালনকালে নেপালের জাতীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের পাশাপাশি নবগঠিত প্রদেশগুলোর প্রাদেশেক পরিষদের নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার দল নেপালি কংগ্রেস দ্বি-দলীয় বামপন্থী জোটের কাছে হেরে যায়।
এর আগেও নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন শের বাহাদুর দেউবা। ১৯৯৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর তিনি দু’বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও রাজা জ্ঞানেন্দ্র অযোগ্য আখ্যা দিয়ে তাকে বরখাস্ত করেন। এরপর্ আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন দেউবা। আবারও তাকে সরিয়ে দেন রাজা জ্ঞানেন্দ্র। কিন্তু ২০০৬ সালের তীব্র গণআন্দোলনের মুখে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। নেপাল গণতান্ত্রিক দেশরূপে আত্মপ্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
জেএম