সংবাদ সংস্থাগুলো রয়টার্সকে আহমেদ শিয়ানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে শনিবার।
প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইমামিন গাইয়ুম তার সরকারের জরুরি অবস্থা জারি, বিরোধী সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন গাইয়ুমসহ প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার ও দমনমূলক ব্যবস্থার আইনি যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে দূত পাঠাচ্ছেন।
রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইইউতে নিযুক্ত এই রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, প্রধান বিচারপতি সাঈদ এবং আটক অপর বিচারপতি ঘুষ নিয়ে এবং ‘‘ সুপ্রিম কোর্টকে জিম্মি করার মধ্য দিয়ে ’’ দেশকে এক রাজনৈতিক সঙ্কটের আবর্তে ঠেলে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি সাঈদসহ সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ ৯জন বিরোধী দলীয় নেতাকে মুক্তি ও প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন গাইয়ুমকে আটক করার নির্দেশ দেয়। এর পরপরই গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেন।
আহমেদ শিয়ানের ভাষায়, সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশটি ছিল ‘‘গোটা দেশকে হঠাৎ থমকে দিয়ে অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দেয়ার সরাসরি এক অশুভ পাঁয়তারা। ’’
এ সময় তিনি মালদ্বীপের পুলিশ বাহিনীর জারি করা একটি বিবৃতির কপি দেখান। বিবৃতিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির কাছে ২ লাখ ১৫ হাজার ডলার এবং ১ লাখ ১৫ হাজার রুফিয়াহ ভর্তি একটি থলে পাওয়া গেছে। এছাড়া একটি প্রাইভেট প্রাইভেট কোম্পানি তার নামে ২৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের ইচ্ছামতো রায় দেবার জন্য প্রধান বিচারপতি এবং আটক অপর বিচারপতি তার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন। ঘুষ খেয়েই তারা এহেন রায় দেন।
এই বিচারপতিরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও যুক্ত। এ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মালদ্বীপ বিদেশের সহায়তা চায়।
বিদেশে তদন্তের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে যুক্তি দিয়ে আহমেদ শিয়ান বলেন, ‘‘আটক এই দুই বিচারপতি গত কয়েক মাসে ১২বার বিদেশে গেছেন। এসব দেশের মধ্যে আছে ভারত, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য। ফেরার সময় তারা বহু মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বিদেশে তারা এতো দামি জিনিস কিভাবে কিনলেন? আর ২৪ লাখ ডলারও তো তাদের বেতনের আওতার বাইরে। কীভাবে পেলেন তারা এতো অর্থ! এজন্যই এসবের তদন্তের জন্য বিদেশের সহায়তা দরকার। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
জেএম