এই বক্তব্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের।
শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ইসরায়েলের ধৈর্যের পরীক্ষা না নিতে ইরানের নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন।
নেতানিয়াহু তখন বলেন, ইরানের হয়ে যারা সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে ইসরায়েল শুধু তাদের বিরুদ্ধেই নয়, প্রয়োজনে ইরানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে।
নেতানিয়াহুর এহেন হুমকির জবাব দিতে গিয়েই জাভেদ জারিফ ইসরায়েলকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন।
জাভেদ জাফরি রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিবিসিকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, সিরিয়া নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে। এর মানে ইসরায়েলের প্রতি জবাবটা হচ্ছে ‘‘সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে যেও না। ’’
‘‘সিরীয় বাহিনী টানা ৩০ বছর পর এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি হানাদার জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করতে সমর্থ হলো’’ উল্লেখ করে জাভেজ জাফরি বলেন, বহু দশক ধরে ‘ইসরায়েল অজেয়’ বলে যে মিথ প্রচলিত আছে, সিরিয়া সে মিথ ভেঙে দিলো।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার গোপন ঘাঁটি থেকে ইসরায়েলের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া একটি ইরানি ড্রোনকে ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার ধ্বংস করে দেয় বলে দাবি করেছে তেল আবিব। এরপর ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানগুলো সিরীয় ও ইরানি লক্ষ্যবস্তুর ওপর একের পর এক হামলা চালায়। এ সময় রাশিয়ার তৈরি সিরীয় এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলের একটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমানকে ভূপাতিত করে। এ ঘটনায় ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক উত্তেজনা ও বাদানুবাদ তুঙ্গে।
‘প্রয়োজনে আমরাও ব্যবস্থা নেবো’ উল্লেখ করে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল ইরানের সঙ্গে লাগতে এলে ইরান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
আগের দিন শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ইসরায়েলি আকাশসীমায় ভূপাতিত করা কথিত ইরানি ড্রোনের একটি অংশ দেখিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটাই হচ্ছে সেই ইরানি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ যা আমরা (হেলিকপ্টার দিয়ে) গুলি করে নামিয়েছি। ... তেহরানের স্বৈরশাসকদের জন্য আমার একটা বার্তা আছে। আর তা হচ্ছে, আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমরা ইরানি স্বৈরশাসকদের আমাদের গলায় সন্ত্রাসের ফাঁস পরাতে দেব না। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
জেএম