ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো রোববার গুজরাটে গেলেন, কিন্তু মোদী তার সঙ্গী হলেন না। তিনি ট্রুডোকে সঙ্গ না দিয়ে ছুটে গেলেন ‘ভোট মাঙতে’ কর্ণাটক রাজ্যে।
তবে কানাডীয় পত্রপত্রিকাগুলো দাবি করেছে, ভারতে জাস্টিন ট্রুডোকে ‘অনাদরের মেহমান’ হিসেবে অবহেলা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনী প্রয়োজন নয়, বরং ট্রুডোর ওপর মনের ঝাল মেটাতেই তাকে এই উপেক্ষা। এর কারণ শিখদের জন্য আলাদা স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কানাডায় বসবাসরত শিখদের দাবির প্রতি কানাডা তথা ট্রুডোর সমর্থন।
কানাডীয় পত্রপত্রিকার এই দাবিকে নিছক ‘অর্থহীন জল্পনা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, বিদেশি কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান ভারত সফরকালে কোথাও বেড়াতে বা পরিদর্শনে গেলে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার সঙ্গী হতেই হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম-টিয়ম নেই।
যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট যখন হায়দরাবাদে যান তখনও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী তার সঙ্গী হননি।
কিন্তু তাদের যুক্তি খুব একটা জোরালো নয়। কেননা বিশ্বে ইরানের ভাবমূর্তি ও প্রভাব কানাডার মতো দেশের সঙ্গে তুলনীয় নয়।
খুব প্রভাবশালী কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান ভারতে এসে কোথাও কিছু দেখতে গেলে, মোদী সঙ্গ দেননি এমন ঘটনা নেই। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এমনকি পুঁচকে দেশ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সর্বক্ষণ ছায়ার মতো সঙ্গ দিয়েছেন মোদী। কিন্তু মোদী কানাডীয় নেতা ট্রুডোর ওপর কুপিত বলে গুজরাতে ট্রুডোকে যেতে হলো শানশওকত ও আতিশয্যহীনভাবে। সবচেয়ে বড় কথা, মোদীর সঙ্গ ছাড়াই।
ট্রাম্পের মতোই মোদীও যেকোনো ছুতায় টুইট করতে ওস্তাদ। কিন্তু জাস্টিন ট্রুডোর সপ্তাহদীর্ঘ সফর নিয়ে ছিটেফোঁটা টুইটও দেননি মোদী। এভাবেই মোদীর চোখে অনেকটা ‘অনাদরের মেহমান’ হয়েই ভারত সফর করতে হচ্ছে ট্রুডোকে।
ট্রুডো গুজরাটে গিয়ে রোববার গান্ধীনগরের অক্ষরধাম মন্দির ও মহাত্মা গান্ধীর শবরমতি আশ্রমে যান।
যাহোক, আগামী শুক্রবার দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক রয়েছে। তখনই আনুষ্ঠানিকতার বৈঠকটি হবে তাদের দুজনের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
জেএম