সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লিস্টার সিটির কেন্দ্রস্থলের হিংকলে রোডে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের প্রচণ্ড ধাক্কায় সেখানকার একটি গোটা বিপণি বিতান চোখের পলকে খোলামকুচির মতো উড়ে যায়।
তবে পুলিশ বলছে, এটা কোনো সন্ত্রাসী বা জঙ্গিদের কাজ বলে মনে হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সে ধরনের আলামত পাওয়া যায়নি।
ইমার্জেন্সি সার্ভিসের লোকেরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকেপড়া মানুষের সন্ধানে রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। এখনো অনুসন্ধান চলছে।
লিস্টার সিটির পুলিশ সুপারইনটেনডেন্ট শেইন ও’নীল বলেন, এ পর্যন্ত ৪জনের মারা যাওয়ার খবর আমরা নিশ্চিত করতে পারি। বেশ কয়েকজন আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমাদের ধারণা সেখানে আরো অনেকেই ছিলেন যাদের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং অ্যাম্বুলেন্স ক্রুরা রাতভর একযোগে ‘অনুসন্ধান ও উদ্ধার’ অভিযান চালিয়ে গেছেন।
পুলিশ বলছে, দমকল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তারা যৌথ তদন্ত চালিয়ে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজবে। এরই মধ্যে গোটা এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো অনেকে আটকা পড়ে আছে এই ধারণায় উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগিয়েছেন। তাদের অনেকে খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকেপড়াদের খুজে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ তাদের এই নি:স্বার্থ উদ্যমকে ‘‘বীরোচিত চেষ্টা’’ বলে অভিহিত করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণটা এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে, এতে বিপণীবিতানটি মুহূর্তেই উড়ে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় অনেক দূরের বাড়িঘর স্থাপনাও থরথর করে কেঁপে ওঠে।
বিরোধী লেবার দলীয় এমপি লিজ কেন্ডাল এই বিস্ফোরণকে ‘‘এক ভয়াবহ দু:সংবাদ’’ বলে অভিহিত করেন।
এ অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যাট প্যাটিসন বলেন, ''বিস্ফোরণটা এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে আমরা মনে করেছিলাম বুঝিবা ভূমিকম্প হয়েছে। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮ /আপডেট ১৬০৬ ঘণ্টা
জেএম