এই তথ্য জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন জাতিসংঘ কর্মকর্তা। উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ও অস্ত্র-উপাদান রফতানি তৎপরতার ওপর জাতিসংঘের প্রস্তুতকৃত একটি রিপোর্টের সারস্তু জানান তিনি সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে।
ওই কের্মকর্তার দাবি, উত্তর কোরিয়া যেসব উপাদানের চালান সিরিয়ায় পাঠিয়েছে সেগুলি রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, এসব উপাদানের চালান পাঠানোর পর ২০১৬-১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার একদল ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ সিরিয়া সফর করেছেন।
এর মধ্যে এই বিশেষজ্ঞরা একবার সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় থেকে গেছেন। বারজেহ, আদরা ও হামার এসব সামরিক স্থাপনায় এরা এখনও হয়তো রয়ে গেছেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের অদূরে আসাদ বিরোধী আইসিস, আল কায়েদা ও আল নুরা বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি বলে পরিচিত পূর্ব ঘৌতায় সরকারি বাহিনী ক্লোরিন গ্যাস হামলা চালিয়েছে বলে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। এর ঠিক দুদিন পর এই জাতিসংঘ কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়াকে জড়িয়ে নতুন এই তথ্য হাজির করলেন।
অবশ্য প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকার ও তার মিত্র রাশিয়া বরাবরই গ্যাস হামলার খবরকে ডাহা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে আসছে। তবে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও কর্মরত এনজিওদের দাবি, তারা গ্যাস হামলার শিকার বহু মানুষকে চিকিসা দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে।
আর সিরিয়ায় উত্তর কোরীয় অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের সফরের খবরকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে আসাদ সরকার। তাদের দাবি, এরা অস্ত্র বা সামরিক বিশেষজ্ঞ নয়, এরা ক্রীড়া বিশেষজ্ঞমাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
জেএম