সহকর্মীদের কাছে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে ২৯ বছর বয়সী হিকস বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসে যা যা তিনি করতে পারতেন তা করে ফেলেছেন। ’ গত বছরের ১৬ আগস্ট নিয়োগপ্রাপ্ত হিকসের পদত্যাগের খবরটি বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) মিলেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স এ বিষয়ে বলেছেন, হিকস কখন হোয়াইট হাউস ছাড়বেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তের মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাউস ইন্টিলিজেন্স কমিটির কাছে হিকসের জবানবন্দির পর তার এই পদত্যাগের ঘোষণার যোগসাজশ নেই বলে মনে করেন সারাহ।
যদিও সংবাদমাধ্যম বলছে, কমিটির কাছে হিকস স্বীকার করেছেন- তিনি ‘প্রয়োজনে’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য ‘শ্বেত মিথ্যা’ বলেছেন। তবে ইন্টিলিজেন্স কমিটির কাছে ট্রাম্পের এই উপদেষ্টা দাবি করেছেন, নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক কোনো তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু লুকোছাপা করেননি তিনি।
২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসার পর থেকে পঞ্চম যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা এলো হিকসের পক্ষ থেকে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর ৪৫ দিনের মাথায়ই প্রথম সরে দাঁড়ান শন স্পাইসার। হিকসের আগে সবশেষ অ্যান্থনি স্কারামুচ্চিকে এ পদে বসান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক তিক্ত রূপ নিতে সপ্তাহ দুই লাগলো না। মাত্র দিন দশেকের মাথায়ই সরে দাঁড়াতে হয় স্কারামুচ্চিকে।
হিকসের পদত্যাগের ঘোষণার পর ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হিকস ছিলেন অসাধারণ এবং গত তিন বছর তিনি দারুণ কাজ করেছেন…। যেকোনো কাজে আমি তাকে নিজের পাশে খুব অনুভব করবো…। আমি নিশ্চিত আমরা ভবিষ্যতে আবার একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮/আপডেট ১১৫৪ ঘণ্টা
এনএইচটি/এইচএ/
** ট্রাম্পের নয়া মিডিয়া প্রধান হোপ হিকস