এখানেই শেষ নয় উগ্র, ধর্মোন্মাদ আর প্রতিক্রিয়াশীল এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে বুধবার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দেবার প্রস্তাবও দেয়া হয় আশরাফ গনি সরকারের তরফ থেকে। সরকারের আশা, এটা করা হলে তালেবানের মন নরম হবে এবং সবাইকে নিয়ে আফগানিস্তানে নতুন এক রাজনৈতিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
আফগান প্রেসিডেন্ট বুধবার জঙ্গিগেহাষ্ঠি তালেবানের কাছে এই প্রস্তাবটি দেন। শান্তি আলোচনার শুরুর ক্ষেত্র প্রস্তুতির লক্ষ্যে আয়োজিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনীতে তালেবানের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবটি দেয়া হয়। পশ্চিমা জোট সমর্থিত সরকার এবং তালেবান দুপক্ষই এখন সংলাপের ব্যাপারে আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী। সরকারও তাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চেয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘কাবুল প্রসেস’ নামের এই ব্যবস্থার আওতাধীন ২৫ দেশের কর্মকর্তারা এতে যোগ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট গণির প্রস্তাবটি তালেবানের জন্য একটি প্যাকেজ প্রস্তাব। তার দেয়া প্রস্তাবে বন্দিদের মুক্তি দান এবং অস্ত্রবিরতির কথাও রয়েছে। এসব সুবিধার পাশাপাশি তালেবানকে কিছু ক্ষেত্রে বড় ধরনের ছাড় দেবার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তালেবান চাইলে তিনি সংবিধানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতেও রাজি আছেন।
তবে তালেবান আশরাফ গণি সরকারকে চক্ষুশূল বলেই মনে করে। তারা এর আগেও স্পষ্ট বলে রেখেছে, আশরাফ গনির বর্তমান সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি নয় তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
জেএম