তিনি দাবি করেছেন, অবিভক্ত ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার জন্য দায়ী মূলত জওহরলাল নেহেরু, সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এখানে জিন্নাহর কোনো ভূমিকা ছিল না।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, ফারুক আবদুল্লাহ বোববার কাশ্মীরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও দাবি করেন মুসলমানদের একটা বড় অংশই চায়নি ভারত ভাগ হোক। জিন্নাহও এমনটা চাননি। কিন্তু চেয়েছিলেন নেহেরু-কালাম-প্যাটেলের মতো নেতারা।
তার এই মন্তব্যের পর ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষত বিজেপি এই মন্তব্যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। একাধিক বিজেপি নেতা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং বলেন, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) প্রধানের উচিত ইতিহাস আবার নতুন করে পাঠ করা।
ফারুক আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, এ বিষয়ে একটা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। যার রেকর্ড এখনও অটুট আছে। কমিশন ভারতকে ভাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। । এ ব্যাপারে কমিশন একমত হয় যে, প্রয়োজনে মুসলমান ও শিখদের মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ভারত ভাঙা যাবে না।
মুহম্মদ আলী জিন্নাহও তাতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন নেহেরু-প্যাটেল-কালাম। তারা কমিশনের সুপারিশ আমলেই নিলেন না। এর ফলে ভারত বিভাগের পথ প্রশস্ত হলো আর জিন্নাহ আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টির ভিত্তি পেয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
জেএম