ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, মঙ্গলবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ৪০ বছর বয়সী কনরাড সাংমা শিলংয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। তিনি কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমার স্থলাভিষিক্ত হলেন।
কংগ্রেসের চেয়ে কম আসন (মাত্র ১৯টি) আসন পেয়েও অন্য কয়েকটি দলের সমর্থন নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে বাজিমাত করলেন কনরাড সাংমা ও তার দল।
অন্যদিকে বেশি আসনে (২১ আসন) জয়ী হয়েও প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে, অন্য কারোর সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে হতাশার আগুনে পুড়লো বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার দল কংগ্রেস।
শেষ মুহূর্তে অন্য দলগুলোর বিজয়ী ১৫ জন এমপির সমর্থন বাগিয়ে নেয় কনরাড সাংমার এনপিপি। এর মধ্যে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির (ইউডিপি) ৬জনের, পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (পিডিএফ)৪ জনের, এইচএসপিডিএফ-র ২ জনের, বিজেপির ২ জনের ও একজন স্বতন্ত্র এমপির সমর্থন বাগিয়ে নেয় কনরাড সাংমার দল। এ নিয়ে কনরাড সাংমার সরকার হবে ৫ দলীয় জোট সরকার।
কনরাড সাংমা ছাড়াও তার মন্ত্রিসভার ১১জন সদস্যও শপথ গ্রহণ করেছেন মঙ্গলবার সকালে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপিপ্রধান অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ প্রভাবশালী বিজেপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এতো কম আসনে জয়ী হয়ে অন্যদের সমর্থনে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে পারলেও শরিকদের মন যুগিয়ে সরকার চালানো যে খুব কঠিন কাজ হবে, সেকথা আগাম বলে দিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী তরুণ মুখ্যমন্ত্রী কনরাড।
এনপিপির জন্য সবচেয়ে বড় অবদানটি রেখেছেন ইউডিপি ও এর নেতা ড. ডংকুপার রায়। রোববার সন্ধ্যায় কনরাড সাংমার এনপিপির প্রতি তার দলের সমর্থন ঘোষণা করার পর সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় এনপিপি। কংগ্রেস মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও ইউডিপির মন গলাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
জেএম