মঙ্গলবার (৬ মার্চ) রাজ্যের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গত বছর কীটনাশকের কারণে অনেকগুলো প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর ভারতের লোকসভায় উত্থাপিত প্রশ্নের তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
গতবছর রাজ্যের যাবাতমাল জেলায় ক্ষেতে কীটনাশক দিতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় ২১ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। একই বছর রাজ্যের আরও ১৪টি জেলায় কীটনাশকের কারণে ৪২ জন মারা যান।
কর্তৃপক্ষের তদন্ত অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী করা হচ্ছে মনোক্রোটোফোস নামে এক প্রকার অনুমোদনহীন মিশ্রণকে। মিশ্রণটি কৃষকরা সরাসরি অথবা কোনো কীটনাশকের সঙ্গে মিশিয়ে ক্ষেতে ব্যবহার করতেন।
তদন্তে আরও বেরিয়ে আসে, রাজ্যজুড়ে প্রায় ৬৬টি ভিন্ন ভিন্ন কীটনাশক ব্যবহৃত হয়, যেগুলোর কোনোটিরই অনুমোদন নেই। তাছাড়া এগুলোর প্রতিটিই বিশ্বের কোনো না কোনো দেশে নিষিদ্ধ।
এ ঘটনার পর মনোক্রোটোফোস নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকার, যদিও কীটনাশকটি ১৯৬৮ সালেই বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
‘আশা’ নামে একটি কৃষি সহায়তা সংস্থার কর্মী কবিতা কুরুগান্তি বলেন, কেরালা ও পাঞ্জাবের মতো মহারাষ্ট্রেও অনুমোদনহীন কীটনাশক বাজার থেকে বায়েজাপ্ত করা উচিত। তাছাড়া নতুন লাইসেন্স ইস্যু করাও বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ