রোববার (১১ মার্চ ) চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেস ‘প্রায় সর্বসম্মতভাবে’ এই প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। কেননা ২,৯৬৪ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র দুজন সদস্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।
এর আগে ১৯৯০-এর দশকে চীন কোনো একজনের সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার বিধানটি চালু করে। এতোদিন তাই মানা হচ্ছিল। কিন্তু রোববারের ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে মেয়াদের গণ্ডি ছাড়িয়ে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের আজীবন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার পথ সুগম হলো।
শি জিনপিং যে আজীবন প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে চান, সেটা গত অক্টোবরেই বোঝা গিয়েছিল। সেবার কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরী মনোনয়ন করার কথা ছিল তার। কিন্তু তিনি তখন তা করেননি। বরং নিজের ক্ষমতা আরো সংহত, আরো ব্যাপকতর এর ‘চিরকালীন’ করার উদ্যোগ নেন। হয়ে ওঠেন একক ক্ষমতাধর, অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
দলে তার ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, কেবল মাও সে তুং(মাও জে দং) –এর ক্ষমতার সঙ্গেই যা তুলনা চলে।
এরপর গত ফেব্রুয়ারি মাসে কমিউনিস্ট পার্টি শি জিন পিংয়ের ক্ষমতাকে আকাশচুম্বি করার পথের শেষ বাধাটিও দূর করার প্রস্তাব করে। আর তা হলো প্রেসিডেন্টের দু’মেয়াদের বাধ্যবাধকতা সংবিধান থেকে একেবারে তুলে নেওয়া। এবার সেটাই হলো।
শি জিন পিং এখন সর্বময়, অসীম, নিরঙ্কুশ ও তুলনারহিত ক্ষমতার অধিকারী এক প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠলেন। মৃত্যু ছাড়া বা শারীরিক অক্ষমতা ছাড়া আর কোনো কারণে তাকে তার পদ থেকে কেউ নামাতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
জেএম