প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফের নিজ শহর শিয়ালকোটে। সেখানে দলের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
আর রোববার মাদ্রাসাছাত্ররা চড়াল হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের প্রধান নওয়াজ শরিফের ওপর। তারা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারে। এ ঘটনাটি ঘটেছে লাহোরে।
নওয়াজ শরিফ লাহোরের ঘাড়ি শাহু এলাকার জামিয়া নায়েমিয়া নামের একটি মাদ্রাসায় ধর্মীয় জলসায় প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন। বক্তৃতাদানের জন্য যখনই তিনি মঞ্চের দিকে পা বাড়ালেন তখনই দুই মাদ্রাসাছাত্র তার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় এবং ‘‘লাব্বায়েক ইয়া রাসুলাল্লাহ’’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় একজন তার ওপর জুতা ছুড়ে মারে।
এসময় নিরাপত্তারক্ষীরা দুই ছাত্রকে ধরে ঘটনাস্থলেই উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। জুতা নিক্ষেপকারী ওই মাদ্রাসারই সাবেক ছাত্র। তার নাম আবদুল গফুর। তার দুষ্কর্মের সঙ্গীর নাম সাঈদ।
সংবিধানে হযরত মুহাম্মদের (স) নাম শেষ নবী হিসেবে যে উল্লেখ আছে, তাতে নওয়াজ শরিফ ও তার দল পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তেহরিক-ই-লাব্বায়েক-ই পাকিস্তান নামের একটি উগ্রপন্থি ধমীয় দল অভিযোগ করেছে।
এর আগের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফের মুখে চুনকালি লেপনকারী ফয়েজ রসুলও পুলিশকে অনুরূপ কথাই বলেছে। তার বক্তব্য, শেষ নবী হিসেবে নবী মুহাম্মদের (স) যে উল্লেখ সংবিধানে রয়েছে, তাতে পরিবর্তন আনতে চায় নওয়াজ শরিফের দল। এটা তাকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করেছে।
‘‘এদের এই পাঁয়তারা আমার সহ পাকিস্তানের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। ’’---এভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে ফয়েজ রসুল।
পরপর দুদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ পাকিস্তান মুসলিম লীগের দুই প্রভাবশালী নেতার ওপর মাদ্রাসাছাত্রদের ওই মারমুখী ও বিপজ্জনক সহিংস আচরণের কারণে গোটা পাকিস্তানে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উগ্রপন্থি তেহরিক-ই-লাব্বায়েক-ই পাকিস্তান ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ(নওয়াজ) এখন মুখোমুখী। এ থেকে আরও বড় ধরনের অপ্রীতিকর বা সহিংস পরিস্থিতির জন্ম নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
জেএম