ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র-পরীক্ষায় প্রথম সাফল্য রাশিয়ার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র-পরীক্ষায় প্রথম সাফল্য রাশিয়ার রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্সেস এই মিগ-৩১ বিমান ও অন্য একটি বিমান থেকে 'কিনঝাল' হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। ছবি-সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো শব্দের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ দ্রুতগামী বিশ্বের প্রথম হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কিনঝাল’-এর (ছোরা) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া।

সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।

এর আগে ‘রাশিয়া হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিরোধ বা ধ্বংস করার ক্ষমতা কারো নেই’ বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার বার্ষিক ভাষণে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।

এর মাত্র কয়েক দিনের মাথায় ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রথম ও সফল পরীক্ষা চালানোর খবর দিল দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। যাতে দুটি মিগ-৩১ জঙ্গিবিমানকে এর ফিউসিলেজ-এর পাইলন থেকে বিশ্বের প্রথম হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সুদূরের কোনো এক লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুড়তে দেখা যায়।

মিগ-৩১ বিমান দুটি ভূমি থেকে আকাশের অনেক উঁচু দিয়ে উড়ে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্দিষ্ট নিশানা লক্ষ্য করে ছুড়ে দেয়। ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটি দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। শুধু ধোঁয়া ও আগুনের পুচ্ছ থেকে যায় আকাশে।

রুশ ভাষায় ‘কিনঝাল’ (বা ‘ড্যাগার' বা 'ছোরা' ) নামের পৃথিবীর প্রথম হাইপারসোনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র বর্তমান ও দূর ভবিষ্যতের যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি অভিনব বৈশিষ্ট্য হলো প্রয়োজন হলে এটি আপনা থেকেই নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে। এটিতে প্রচলিত ও পরমাণু ওয়ারহেড দুটোই সংযোজন করা যাবে। ক্ষেপণাস্ত্রটির সবচেয়ে কার্যকর পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।