তাদের জন্য বাড়তি আনন্দের বিষয় হচ্ছে, ২০১৪ সালের ঠিক এমন দিনেই কৃষ্ণসাগরতীরবর্তী এই উপদ্বীপ ও নৌবন্দরটি রাশিয়ার অংশ হয়। সেদিক থেকে রাশিয়ার সঙ্গে এ দুটি স্থানের অন্তর্ভুক্তির ৪র্থ বার্ষিকী দিবস আজ ১৮ মার্চ।
নির্বাচন নিয়ে ক্রিমিয়া ও সেভাস্তোপোলের মানুষের আবেগ উল্লাস তাই আকাশচুম্বী। যার কারণে ক্রিমিয়া আজ রাশিয়ার মতো পরাশক্তি দেশের অংশ, তিনি হচ্ছেন আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত, সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। ১৯৫০ দশকের গোড়ায় সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ ক্রিমিয়াকে উপহার দিয়েছিলেন ইউক্রেনকে। অর্থাৎ পুতিনের কারণে ক্রিমিয়া আবারও রাশিয়ার অংশ হলো ---বিনা রক্তপাতে। ক্রিমিয়ানদের নিজেদের ভোটে।
ধারণা করা হচ্ছে, পুতিনই পাবেন সেখানকার ৯০ শতাংশ ভোট। ক্রিমিয়ার ভোটকেন্দ্রগুলোতে মস্কো-সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ক্রিমিয়া ও সেভাস্তোপল নৌবন্দরে সব মিলিয়ে যথাক্রমে ১৫ লাখ ও ৩ লাখ ১১ হাজার বৈধ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এদের প্রায় সবারই ভোট পড়বে তাদের আধুনিক ত্রাতা ভ্লাদিমির পুতিনের বাক্সে।
ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১,২০৬টি আর সেভাস্তোপোলে ১৮২টি।
বলা বাহুল্য ক্রিমিয়া ও সেভাস্তোপোলের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ জাতিতে রুশ। তাই সেখানে ভোট হওয়া মানেই আলাদা আনন্দের ব্যাপার এই দুই স্থানের বাসিন্দাদের জন্য।
ইসরায়েল, স্পেন, ইতালি, জার্মানি, সুইডেন, সাইপ্রাস, নরওয়ে, ডেনমার্ক ও ইউক্রেনসহ ২০টি দেশের ৪০ জনের বেশিপর্যবেক্ষক এখন অবস্থান করছেন ক্রিমিয়া ও সেভাস্তোপোলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
জেএম