হতভাগ্য শাহজাদ মসিহ ও তার স্ত্রী শামা। ছবি-সংগৃহীত
ইসলাম ধর্মের কথিত অবমাননার অজুহাতে পাকিস্তানের লাহোর শহরের অদূরে এক খৃস্টান লোক ও তার অন্ত্বঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে ও ইটভাটার আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিল হাজারখানেক ধর্মান্ধ লোক। ২০১৪ সালের নভেম্বরের সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার মামলার ২০ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
সংবাদসংস্থাগুলো জানায়, লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত শনিবার এই রায় দিয়েছে।
উল্লেখ্য,শাহজাদ মসিহ ও তার স্ত্রী শামা দুজনেই ছিলেন হতদরিদ্র দিনমজুর।
তারা ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করে কোনোমতে জীবন চালাতেন। কিন্তু একদল লোক তাদের নামে গুজব ছড়ায় তারা নাকি পবিত্র কোরআনের অবমাননা করেছে। যদিও সে অভিযোগের কোনো সত্যতা ছিল না। সেখানকার স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম মসজিদের মাইক থেকে ওই খৃস্টান দম্পতির ওপর হামলার উস্কানি দেন। এসময় প্রায় হাজারখানেক উত্তেজিত লোক অভিযোগ যাচাই না করেই ইটভাটায় হানা দিয়ে ওই স্বামী স্ত্রীকে পেটায়। এরপর জীবন্ত অবস্থাতেই তাদেরকে ইটভাটার আগুনে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে।
পুলিশ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে যে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে তাতে বলা হয়, ইটভাটার আগুনে ছুড়ে ফেলার আগেও ওই দম্পত্তি জীবিত ছিলেন। পরে পুলিশ বেশ কিছু গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে। পরে ২০১৬ সালে লাহোরের একটি ফৌজদারি আদালত অভিযুক্ত ইমামসহ ৫ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেন। এবার লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত এ ঘটনায় আটক আরও ২০ সন্দেহভাজনকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’-এর আওতায় বেকসুর খালাস দিলেন গতকাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
জেএম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।