শেষবুক কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চাইছে সবাই। ব্রিটিশ এমপিরা বাদ নেই।
সংবাদ মাধ্যমগুলো মঙ্গলবার জানিয়েছে এখবর। সংবাদে বলা হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট কমিটি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব সরাসরি পাওয়ার জন্য জুকারবার্গকে তলব করে। কিন্তু জবাবে ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়, জুকারবার্গ নিজে কমিটির সামনে হাজির হবেন না। তবে তিনি তার প্রতিনিধি হিসেবে তার চিফ টেকনোলজি অফিসার মাইক শ্রোয়েফার অথবা চিফ প্রোডাক্ট অফিসার ক্রিস কক্সকে পাঠাবেন।
কিন্তু ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংশ্লিষ্ট কমিটি জুকারবার্গের এহেন জবাবে সন্তুষ্ট নয়। পার্লামেন্টের ওই কমিটির চেয়ারম্যান মঙ্গলবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানান, তারা জবাবটা মার্ক জুগারবার্গের নিজের কাছ থেকে সামনাসামনি শুনতে চান। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এবারও জানিয়ে দিয়েছে, এ জাতীয় প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত লোক জুকারবার্গ নন, বরং মাইক শ্রোয়েফার অথবা চিফ প্রোডাক্ট অফিসার ক্রিস কক্স।
পার্লামেন্টের সংশ্লিষ্ট কমিটির চেয়ারম্যান ভিডিওলিংকের মাধ্যমে প্রশ্নের জবাব দিতে বলেছিলেন জুকারবার্গকে। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সেই একই যুক্তি।
গত সপ্তাহে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অজান্তে তাদের তথ্য পাচারের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। ফেসবুক ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যপাচার কেলেঙ্কারির পর থেকে মার্ক জুকারবার্গ আর তার প্রতিষ্ঠানে যেন সাক্ষাৎ শনির কুপ্রভাব পড়ছে--- একের পর এক। ভাবমূর্তির বারোটা যেমন বেজেছে, গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো তাতে যোগ হয়েছে আর্থিক গচ্চাও। সূচকে তিন ধাপ নেমে তার অবস্থান এখন সপ্তম।
এই কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হবার পর ফেসবুকের শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে পড়ে যায়। এক ধাক্কায় শেয়ার সূচকে ১৪ শতাংশ নেমে গেছে ফেসবুক। এছাড়া ব্লুমবার্গের বিলিওনেয়ার ইনডেক্সে গত একটি সপ্তাহে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সেরা ধনকুবের এই তরুণ উদ্যোক্তার ফরচুন থেকে নাই হয়ে গেছে ১০.৩ বিলিয়ন (১হাজার ৩০ কোটি) ডলার।
৫ কোটির বেশি ইউজারের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার মাধ্যমে পাচার করে দেবার মতো হঠকারি ‘দুর্বৃত্তপনা’র বদনাম এখন জুকারবার্গের মাথায় কাঁটার মুকুট হয়ে এঁটে বসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
জেএম