মার্কিন সমরবিদ ও শীর্ষ স্থানীয় জেনারেলদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও সিনেটররাও। তাদের সবার উপলব্ধি এক।
‘দ্য হিল’ পত্রিকা মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর এহেন স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এই মর্মে এক প্রতিবেদন ছেপেছে। জেনারেলরা রাশিয়ার হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা আগেই প্রকাশ করেছেন। এবার সিনেটররাও বলছেন: ‘‘এই মুহূর্তে আমরা অসহায় । আমাদের করার কিছু নেই। ’’
‘দ্য হিল’কে একথা বলেছেন, রিপাবলিকান সিনেটর জেমস ইনহোফে। তিনি আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য।
শুধু রাশিয়ার হাইপারসোনিক শুধু ক্ষেপণাস্ত্রই (যার নাম ‘কিনঝাল’ বা ‘ছোরা’) নয়, একই কথা খাটে চীনাদের উদ্ভাবিত হাইপারসোনিক অস্ত্রের বেলায়ও। কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি শব্দের গতির চেয়ে ১০ গুণ এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ গুণ বেশি। এই ভয়ানক গতিমান মারণাস্ত্রর গতিরোধ করার বা পথিমধ্যে ধ্বংস করার মতো মোক্ষম কোনো অস্ত্র এ মুহূর্তে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে নেই।
সিনেটর জেমস ইনহোফের কথার প্রতিধ্বনি মেলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের টমাস কারাকোর কণ্ঠে। তারও অভিমত, এ মুহূর্তে ‘‘সুপার ফাস্ট মিসাইল প্রযুক্তি’’-র উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। এর কারণ একই গতিতে যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন হলো কিছুই করেনি। এ ধরনের নিজস্ব অস্ত্র উদ্ভাবনে একদমই মনোযোগ দিইনি আমরা। এমনকি এসব অস্ত্র শনাক্ত করার মতো সেন্সরও তৈরি করিনি আমরা। তৈরি করিনি এগুলেঅকে ভূপাতিত করার মতো মোক্ষম কিছু। ’’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাটেজিক কমান্ডের প্রধান জেনারেল জন হেইটেন সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির এক বৈঠকে স্বীকার করেন, হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতিরোধ বা ধ্বংস করার কোনো ক্ষমতা এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
উল্লেখ্য, রাশিয়া মিগ জঙ্গিবিমান থেকে তার প্রথম হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝাল’-এর (ছোরা বা ড্যাগার) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৯ সালেই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ সমরাস্ত্র-ভাণ্ডারে যুক্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
জেএম