একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি থেকে এমনটাই প্রতীয়মান হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার প্লুটোনিয়াম উপাদনের ক্ষমতা আরো এক ধাপ বাড়লো।
নতুন এই খবরটি পুরোপুরি সত্য হলে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমন ও পরমাণু অস্ত্রমুক্তি প্রশ্নে সম্ভাব্য ট্রাম্প-কিম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবার পথে তা অন্তরায় হবে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে পরস্পরের চক্ষুশূল ও কড়া সমালোচক হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম-কিম মুখোমুখি বৈঠকে বসতে রাজি হন।
দক্ষিণ কোরীয় একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকটির বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে এরই মধ্যে ওয়াশিংটন গেছে। এ দলের একজন সদস্য হোয়াইট হাউসের সামনে উত্তর কোরীয় নেতা কিমের দেয়া একটি বিবৃতি পড়ে শোনান। সেখানে কিম বলেছেন, সিউল ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছার জন্য তিনি সব ধরনের পরমাণু অস্ত্র ও দূর ও মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকবেন।
কিন্তু উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে যা প্রতীয়মান হয়েছে, বাস্তবেও তা-ই যদি প্রমাণিত হয় তাহলে সেটা হবে কিমের নিজের করা অঙ্গীকারের স্পষ্ট বরখেলাপ।
পরীক্ষামূলক ওই পরমাণু চুল্লিটির অবস্থান রাজধানী পিয়ং ইয়ং থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার উত্তরে। এই চুল্লি পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ‘ফিসাইল ম্যাটেরিয়াল’ উৎপাদনে সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
জেএম