রোববার (২২ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশটি অনুমোদন করেন। অধ্যাদেশে ১২ বছরের কম বয়সী এবং ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুকে ধর্ষণে জড়িতদের ভিন্ন কঠোর শাস্তির বিধান আনা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২১ এপ্রিল) এ বিষয়ে অধ্যাদেশ (জরুরি নির্বাহী আদেশ) জারি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় শিশু ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফৌজদারি আইন (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০১৮ অনুযায়ী, এই ধরনের মামলার জন্য নতুন দ্রুত বিচার আদালত স্থাপন করা হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ ফরেনসিক সরঞ্জাম সব থানা ও হাসপাতালে দেওয়া হবে।
আগে ধর্ষণ মামলায় সর্বনিম্ন সাজা ছিলো ৭ বছর। সংশোধনীতে এই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।
১৬ বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণে জড়িতদের সর্বনিম্ন সাজা ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর অর্থাৎ যাবজ্জীবন কারাবাসের আইন করা হয়েছে।
অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণে জড়িতদের সাজা ২০ বছর অর্থাৎ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি), প্রমাণ আইন, ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনে এখন সংশোধন আনা হবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধর্ষণের মামলার তদন্ত খুব দ্রুত সময়ে শেষ করতে বলা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মামলার নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে। আর এ ধরনের মামলায় আপিল নিষ্পত্তির জন্য ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই আইনে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থাও থাকছে না।
**ভারতে ১২ বছরের নিচে শিশু ধর্ষণে ফাঁসির আইন
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
আরআর