কংগ্রেস সভাপতিকে বহনকারী জেট প্লেনে এমন গুরুতর যান্ত্রিক বিভ্রাটের খবর প্রকাশের পর তোলপাড় চলছে ভারতজুড়ে। এ গোলযোগ পরিকল্পিত ছিলো কি-না খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে কংগ্রেস।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) তিনবারের চেষ্টায় হুবলিতে নামে প্লেনটি। কংগ্রেস সভাপতিসহ পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন ওই প্লেনে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) সূত্র জানায়, ‘অটো-পাইলট’ ব্যবস্থায় সমস্যা হওয়ায় পাইলট ‘ম্যানুয়াল’ মুডে নিরাপদে অবতরণ করেন। এ ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয় বলেও দাবি ডিজিসিএ’র।
তবে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) নিরাপত্তা পাওয়া কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে ওড়ার আগে পাইলট এবং বিমান সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়া হয় ডিজিসিএ এবং এসপিজি’র কাছে। তারা ছাড়পত্র দিলেই প্লেনের উড্ডয়ন পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। আমাদের আশা, কর্নাটক পুলিশ এবং ডিজিসিএ-র ডিজিরা তদন্ত করে জানাবেন, এই ঘটনায় কোনও ব্যক্তির হাত ছিল কি না।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণার কাজে শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হুবলি রওনা হন রাহুল গান্ধী। পৌনে ১১টার দিকে তাকে বহনকারী ফ্যালকন জেট প্লেনটিতে দেখা দেয় গন্ডগোল।
সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, জোরালো একটা শব্দের পরে ‘অটো পাইলট’ বিকল হয়ে নিচে পড়তে থাকে রাহুলকে বহনকারী প্লেন। ২-৩ মিনিটের জন্য রাডার থেকেও মুছে গিয়েছিল সেটি।
কর্নাটকের ডিজি ও আইজির কাছে লিখিত অভিযোগে রাহুলের সহযোগী কৌশল বিদ্যার্থী বলেছেন, প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে কিনা তার ব্যাখ্যা মেলেনি। সবার প্রাণ যেতে বসেছিল। কিন্তু রাহুল আগাগোড়া ধৈর্য রেখে পাইলটের পাশে ছিলেন, যেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
এমজেএফ