মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, সামরিক প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও প্রাণঘাতী নয় এমন কার্যক্রমের জন্য মার্কিন সরকার এ অর্থ সহায়তা দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সরকার ২০১৪ সাল থেকে কিয়েভের সামরিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়াও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নবাদীদের অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহান্স্ক-এর সংঘাতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এই অঞ্চলকে একত্রে ডোনবাস বলা হয়।
মস্কো ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নবাদীদের অস্ত্র ও সৈন্য সরবারহের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে রাশিয়া বলছে, দেশটির ‘স্বেচ্ছাসেবক’রা বিদ্রোহীদের সাহায্য করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর ইউক্রেনের সামরিক খাতে অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিলো পেন্টাগন।
ট্রাম্প ও পুতিন ফিনল্যান্ডের বৈঠকে ইউক্রেন সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন।
এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ডনবাসের সংঘাত সমাধানের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তবে ডনবাস ইস্যু নিয়ে পুতিনের এই আশ্বাসের বিষয়ে মস্কো কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি