দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল সৌদ আল মোজেব বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দেশটির রাজধানী রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। সেইসঙ্গে তিনি এই হত্যাকাণ্ডে দায়ে সৌদির পাঁচ সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান জড়িত নয় বলেও দাবি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মোজেব বলেন, খাশোগির শরীরে ড্রাগ ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর টুকরো করা দেহ কনস্যুলেটের বাইরে এক এজেন্টকে হস্তান্তর করা হয়। তবে খাশোগির মরদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেলের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জামাল খাশোগিকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ২১ জনকে আটক রাখা হয়েছে। আটক ২১ জনের মধ্যে ১১ জনকে আদালতের মুখোমুখি করা হয়েছে। এছাড়া অন্য সন্দেহভাজনদের খাশোগি হত্যায় সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন।
২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হন সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথমদিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন এ সাংবাদিক। সবশেষ দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল সৌদ আল মোজেব খাশোগির মরদেহ টুকরো টুকরো করার কথা স্বীকার করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
এপি/আরআর