বুধবার (২৮ নভেম্বর) হায়দারাবাদে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে সুষমা স্বরাজ ভারতের এই অবস্থান জানিয়ে দেন। আগের দিন মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল বলেছিলেন, বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বয়কটের মুখে স্থগিত হয়ে যাওয়া সার্ক সামিট আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান, এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আমন্ত্রণপত্র এরইমধ্যে এসেছে, কিন্তু তিনি সেখানে যাচ্ছেন না। আমরা এর ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছি না। যতক্ষণ না পাকিস্তান ভারতের ভেতরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করছে, ততক্ষণ তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপও হবে না, অংশ নেবো না তাদের সার্ক সামিটেও। ’
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কের এই সামিট পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ১৫-১৯ নভেম্বর। কিন্তু তার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরি শহরে একটি সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে ভারতের ১৯ জন সৈন্য প্রাণ হারান। হামলার জন্য পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের দায়ী করে সেই সামিট বয়কট করে ভারত। এরপর বাংলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তানও সামিট থেকে সরে আসে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য দেশ ‘না’ বলায় সেবার আর সামিট আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান।
তবে, চিরবৈরী দুই দেশের মধ্যে একটি করিডর নির্মাণ প্রকল্পকে ঘিরে সামিট আয়োজনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পাকিস্তান। বুধবার ভারতের সঙ্গে ভিসা ফ্রি এই করিডর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যেখানে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারসিমরাত কাউর, হারদীপ সিং পুরি এবং পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভোজৎ সিং সিধুও উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ছয় কিলোমিটার এই করিডরের মাধ্যমে ভারতের দেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের গুরুদাসপুরের গুরুদুয়ারায় যেতে পারবেন শিখ তীর্থযাত্রীরা।
এই করিডর নির্মাণ ঘিরে পাকিস্তানের সার্ক সামিট আয়োজনের আগ্রহের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘বহুদিন থেকেই আমরা এই করিডর নির্মাণের কথা বলে আসছি। এখন এসে পাকিস্তান সাড়া দিয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে দু’দেশের মধ্যে সংলাপ শুরু হবে। কারণ সন্ত্রাস ও সংলাপ একসঙ্গে চলতে পারে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
এইচএ/