স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নির্মিত এই টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। এলন মাস্কের দাবি, এ ধরনের টানেল শহরের ‘আত্মা ধ্বংসকারী’ যানজট সমস্যার নিরসন করবে।
বোরিং কোম্পানির মাধ্যমে ২০১৬ সালে মাটির নিচে খননকাজ শুরু করেন এলন। দুই বছরের মাথায় এসে টানেলটি সফলভাবে চালু করতে সক্ষম হন তিনি। আর এতে নিজ হিসাব থেকে প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ খরচ করেছেন এলন।
এক দশমিক ১৪ মাইল (১.৬ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই টানেলে নামতে হবে একটি লিফটের মাধ্যমে। ১২ ফুট চওড়া এই টানেলের মধ্যে দিয়ে একমুখী পথে একসঙ্গে চলতে পারবে একটি প্রাইভেটকার।
এলন মাস্ক জানান, বিশেষভাবে নির্মিত ইলেকট্রিক গাড়ি এই টানেলে নামানো হবে। টানেলের মধ্যে দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে এসব গাড়ি।
একটি ‘লুপ’ এর আদলে এই টানেল তৈরি করা হয়েছে। এলন মাস্ক বলেন, লুপটি এমনভাবে কাজ করবে যেন কেউ চাইলে এই টানেলের মধ্যে ঘণ্টায় দেড়শ’ মাইল বেগে পথ পাড়ি দিতে পারবেন। আবার এখান থেকে বের হতে চাইলে র্যাম্প আছে, আপনাদের বের করে নিয়ে আসবে। এটা আসলে মাটির নিচে একধরনের থ্রি-ডি হাইওয়ে সিস্টেম।
নাগরিক সমস্যা সমাধানে এলন মাস্কের এই টানেল আদতে শহরের যানজট নিরসন করতে পারে কি-না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এসএইচএস/জেডএস