মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ওই বিবৃতিতে বলেন, পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে বিষয়টির সুরাহার জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজ করে যাবে ভারত।
এর আগে কয়েকদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাজিয়াতলী এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২০২৯ পিলারের কাছে ৩১ নারী, পুরুষ ও শিশু রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা খবর ছড়ানোর প্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, ‘সীমান্তে থাকা রাখাইনের ৩১ জনের বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। তাদের কাগজপত্র এবং দাবি যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর তরফ থেকে প্রয়োজনীয় আশ্রয়, খাদ্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। কিছু লোকের মাধ্যমে বাংলাদেশের দিকে কথিত এ ধরনের তৎপরতার (অনুপ্রবেশ) বিষয়ে মিডিয়ার খবরও নজরে এসেছে সরকারের। ’
এ ধরনের তৎপরতার সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে এই বিষয়টির সুরাহার জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজ করে যাবে ভারত। ’
রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সেখান থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশেই আশ্রয় নিয়েছে। কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময়ে গেছে ভারতসহ নানা দেশেও। এই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সেখানে ঘর করে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকেই কাজ করছে ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এইচএ/