আবহাওয়া ব্যুরোর তথ্যমতে, অস্ট্রেলিয়ার এ গ্রীষ্মকালীন সময়ে প্রচণ্ড রকমের তাপ ছিল। যা অভূতপূর্ব।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, জানুয়ারির পাঁচদিনের তাপমাত্রা ১০টি গ্রীষ্মের রেকর্ড ছিল। ওই পাঁচটি দিন অস্ট্রেলিয়াজুড়ে তাপমাত্রা ছিল দৈনিক ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচণ্ড রকমের এই গরমে জানুয়ারি মাসজুড়ে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভয়ঙ্কর এ পরিস্থিতির কবলে পড়ে প্রচুর সংখ্যক বন্যপ্রাণী মারা গেছে। ৯০টিরও বেশি শুধু বন্য ঘোড়া মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে একটি রিপোর্টে। তাছাড়া গরমে অনেক অধিবাসীও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির হার বেড়েছে। সংবাদমাধ্যম বলছে, একদিকে, রেকর্ড গড়া ঠাণ্ডা। অন্যদিকে, গরম। হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে নেমে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের তাপমাত্রা। দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড রকমের ঠাণ্ডা। বরফে পাহাড় জমে গেছে। অন্যদিকে, প্রশান্ত মহাসাগরের ওপারেই অস্ট্রেলিয়ায় হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রি উপরে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্ড্রু ওয়াটকিনস বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার একটি বড় অংশে জানুয়ারির বেশির ভাগ দিনই আমরা প্রচণ্ড তাপদাহ পরিস্থিতি দেখেছি। যা গড় সময় এবং তাপমাত্রা হিসেবে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এছাড়া বেশির ভাগ এলাকায় গড়ে বৃষ্টিপাতও কম ছিল।
অস্ট্রেলিয়ায় গ্রীষ্মকালীন সময়ে ক্রমাগতই তাপমাত্রা বাড়ছে। অধিবাসীরা সহ্য করছেন চরম পরিস্থিতি। গত বছরও সিডনিতে একদিন ৪৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছিল। যা ১৯৩৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে গরমের দিন হিসেবে রেকর্ড গড়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০১৯
টিএ