ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন-এমবিএসের ফোনকলে ‘কড়াকড়ি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন-এমবিএসের ফোনকলে ‘কড়াকড়ি’ ডোনাল্ড ট্রাম্প

ঢাকা: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সৌদি যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমানসহ অনেক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ফোনালাপ’ সুরক্ষায় গোপনীয়তার প্রক্রিয়ায় আরও কড়াকড়ি আরোপ করলো হোয়াইট হাউস। এটি ট্রাম্পের ‘স্পর্শকাতর ফোনালাপ’ ফাঁস হওয়া বন্ধের উদ্যোগ বলে দেখা হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের বিস্তারিত ফাঁস হওয়ার পর শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ নজিরবিহীন ব্যবস্থা নিল হোয়াইট হাউজ। আগে থেকেই ট্রাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আওতায় রয়েছে।

এবার তার ‘বিশেষ ফোনালাপ’কেও সেই গোপনীয়তার আওতায় আনা হলো।

সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস হলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, সিআইএ’র সাবেক এক কর্মকর্তার ফাঁস করা ওই ফোনালাপে ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপ প্রয়োগ করেন বলে স্পষ্ট হয়। এ ঘটনায় বিদেশি শক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মূলত আসন্ন নির্বাচনকেই প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে সর্বমহলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিশংসনের মুখে পড়তে হতে পারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।

এই ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বিভিন্ন সময়ের আলাপচারিতার সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে ক্রেমলিন। এর মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিল।

হোয়াইট হাউসের নতুন ‘কড়াকড়ি’র বিষয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, কেবল পুতিন বা মোহাম্মদ বিন সালমান নন, ট্রাম্পের সঙ্গে আরও যে বিশ্বনেতাদের গলায় গলায় খাতির রয়েছে, তাদের ফোনালাপও এই কড়াকড়ির মধ্যে নিয়ে এসেছে হোয়াইট হাউস। যেন কোনোভাবেই গোপনীয়তা লঙ্ঘন না হয়।

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের খাতিরের বিষয়টি এখন মার্কিনিরাও জানেন। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে পুতিনের রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের একাধিক তদন্ত হয়েছে এবং চলছে। বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে তাকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সেই আহ্লাদ দেখিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টই।  

অন্যদিকে সৌদি আরবের ইস্তাম্বুল দূতাবাসে দেশটির রাজতন্ত্রের সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুন হওয়ার পর এ নিয়ে চাপে পড়ে রিয়াদ প্রশাসন। পরে একাধিকবার ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয়ে থাকতে পারে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। যদিও মার্কিন গোয়েন্দারা তাদের তদন্তের পর জানিয়েছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারেরই হাত ছিল।

পুতিন ও মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপে কড়াকড়ির পর এখন এই বিষয়গুলোই ঘুরে-ফিরে সামনে আসছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯/আপডেট ০৯০৬ ঘণ্টা
এএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।