ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

১ যুগ পর যুক্তরাজ্য থাকবে না বলে ধারণা অর্ধেক জনগোষ্ঠীর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
১ যুগ পর যুক্তরাজ্য থাকবে না বলে ধারণা অর্ধেক জনগোষ্ঠীর!

এখন থেকে এক যুগ পর ‘যুক্তরাজ্য’ অস্তিত্বশীল থাকবে না বলে মনে করছে দেশটির অর্ধেক নাগরিক। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক সামাজিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ইপসস মোরির এক ভোটাভুটিতে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। 

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।  

খবরে বলা হয়, ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে হওয়া গণভোটে যখন ৫২ থেকে ৪৮ শতাংশ নাগরিক এর পক্ষে ভোট দেয়, তখনই নাখোশ হয় স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড।

তারা চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই থেকে যেতে। ফলে ওই গণভোট ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত যুক্তরাজ্যের ঐক্যে চিড় ধরায়।    

আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকরের দিকে যুক্তরাজ্য যতোই এগিয়ে যাচ্ছে, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে গণভোটের দাবি ততোই জোরালো হয়ে উঠছে। অন্যদিকে উত্তর আয়ারল্যান্ডেও  যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে রিপাবলিক আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পক্ষে গণভোটের দাবি বেড়ে চলেছে।  

যদিও এর আগে ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবিতে হওয়া এক গণভোটে ৫৫ থেকে ৪৫ শতাংশ স্কটিশ তা প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন।  

ইপসস মরি’র ভোটে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের ৫০ শতাংশ মানুষই এখন মনে করে আগামী ১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্য বলে কিছু থাকবে না। মাত্র ২৯ শতাংশ মানুষের ধারণা এক যুগ পরেও যুক্তরাজ্য টিকে থাকবে, অথচ ২০১৪ সালে এ ধারণা পোষণ করতো ৪৫ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ যুক্তরাজ্য টিকে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী মানুষের সংখ্যাও দিন দিন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।  

স্কটল্যান্ড শাখার ইপসস মোরি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমিলি গ্রে বলেন, ২০১৪ সালের তুলনায় যুক্তরাজ্যের প্রশ্নে ব্রিটিশরা এখন অনেক বেশি বিভক্ত।  

গত ২৫ থেকে ২৮ অক্টোবর ১ হাজার একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ওপর ইপসস মোরি এ জরিপ চালায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।