মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টার দিকে মিয়ানমার ও গাম্বিয়ার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ শুনানি শুরু হয়। এতে মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি অংশ নিয়েছেন।
খবরলে বলা হয়, সোমালিয়ার বিচারপতি আব্দুল কোয়াই আহমেদ ইউসুফ আদালতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এরই মধ্যে গাম্বিয়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছে।
এতে রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তে উঠে আসা ধর্ষণ, হত্যা, অগ্নিকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন তথ্যও সন্নিবেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় জাতিসংঘও রোহিঙ্গা গণহত্যার ব্যাপারে মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করেছে।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এ মামলার ধারাবাহিক শুনানি চলবে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সু চি নিজেই মিয়ানমারের পক্ষে এ মামলায় আইনি মোকাবিলার নেতৃত্ব দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা ইস্যুতে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য মিয়ানমার কোনো গণশুনানিতে অংশ নিচ্ছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো মামলার চূড়ান্ত রায়ে পৌঁছাতে সাধারণত কয়েক বছর সময় নেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস। কিন্তু প্রয়োজনে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ আদালত অন্তর্বর্তী যে কোনো আদেশ দিতে পারেন।
এবারে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তেমন কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে রোহিঙ্গা গণহত্যায় ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের বাইরে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার বিক্ষোভ চলছে।
অন্যদিকে রাখাইনে ‘গণহত্যা’র বিষয়টি স্বীকার করে নিতে অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাত নোবেলজয়ী। একই সঙ্গে ওই ‘গণহত্যা’র জন্য সু চি ও মিয়ানমারের সেনা কমান্ডারদের জবাবদিহিতার আহ্বানও জানান তারা।
এ মামলার শুনানিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলও অংশ নিচ্ছ বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এইচজে